April 19, 2025, 8:43 pm
Headline :
সিলেট ডেভেলাপমেন্ট কাউন্সিল মহানগর কমিটির জরুরী সভা অনুষ্টিত খেলাধুলা সামাজিক বন্ধন অটুট রাখে, রামপাশায় ফুটবল টুর্নামেন্ট,র ফাইন্যাল অনুষ্টানে প্রধান অতিথি——-খছরুজ্জামান খছরু সমাজকর্মি হাবিবুর রশিদ জনির প্রতিবাদ বিবৃতি হাছন রাজা লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারকারী ৪ জনকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে তিন দিনের আল্টিমেটাম প্রদান উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যারা পাড়ি দিতে চান, তাদের জন্য শতভাগ বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান পাইওনিয়ার্স রিক্রোটিং এজেন্ট বিশ্বনাথ,র খাজাঞ্চীতে মিতালি যুব সংঘ তবল পুর ফাইন্যাল অনুষ্ঠিত, যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই—–খছরুজ্জামান খছরু অপ-সাংবাদিকতা রোধে যৌথভাবে মোকাবিলা করার প্রত্যয়, বিশ্বনাথে কর্মরত তিনটি প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত ওসমানী নগরে গোয়ালাবাজার আদর্শ গণপাঠাগার,র কমিটি গঠন, সভাপতি নির্মল চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, সাংগঠনিক আরজু মিয়া বিশ্বনাথ,র দশঘর ইউনিয়নে মিয়ার বাজার ক্রিড়া সংস্থা কর্তৃক মিয়ার বাজার প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল সিজন ৪’ উদ্বোধন
Notice :

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংঘঠক অ্যাডভোকেট শাহ মোদাব্বির আলীর ইন্তেকাল-দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক, আইনজীবি, অ্যাডভোকেট শাহ মোদাব্বির আলী মানিক মিয়া আর নেই।

তিনি বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পবিত্র শবে কদরের রাতে ইফতার করার কিছুক্ষণ পর সিলেট নগরের খাদিমনগরে নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইন্না,,,,রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ৩ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতী-নাততিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শুক্রবার বাদ জুম্মা (২৮ মার্চ) শাহ মোদ্দাবীর আলী মানিক মিয়ার নিজ গ্রাম বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের ধর্মদা গ্রামস্থ শাহ আজমত আলী (রহ.) জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাযা সম্পন্ন হয়।
জানাযার নামাজে ইমামতি করেন, বিশ্বনাথ আলীয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা নু’মান আহমদ। জানাযা শেষে মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে শাহ মোদ্দাব্বির আলী মানিক মিয়াকে দাফন করা হয়।
জানাযার নামাজে অন্যান্যের খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ. বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দয়াল উদ্দিন তালুকদার, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
শাহ মোদাব্বির আলীর বর্ণাঢ্য জীবন : অ্যাডভোকেট শাহ মোদাব্বির আলী মানিক মিয়া ১৯৪৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের ধর্মদা পীরবাড়ী গ্রামে এক সম্্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন শাহ মোদাব্বির আলী মানিক মিয়া। পিতা মরহুম শাহ মমতাজ আলী এবং মাতা তৈয়বুন্নেছা খানম। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। স্থানীয় ধর্মদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা, ১৯৬০ সালে রামসুন্দর আগামী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক, ১৯৬৩ সালে এমসি কলেজ থেকে আই এ, এবং ১৯৬৫ সালে এমসি কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ১৯৬৮ সালে এল.এল.বি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ন হয়ে একজন নবীন আইনজীবি হিসেবে যোগ দেন সিলেট জেলা বারে।
শাহ মুদাব্বির আলী মানিক মিয়া এল.এল,বির ছাত্র থাকা অবস্থায় কয়েক বছর শিক্ষকতা করেন। ছিলেন সিলেট মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক, বিয়ানীবাজার লাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও ঢাকার শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এসময় তিনি সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়েন। বেশ কিছুকাল দেশের প্রাচীনতম পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক ঢাকা অফিসে ষ্টাফ রিপোটার হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় জয়বাংলা (পূর্বাঞ্চল) ও সোনার বাংলা নাম দুটি পত্রিকা। এমসি কলেজ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সদস্য (১৯৬৩), শাহ মুদাব্বির আলী মানিক মিয়া ছাত্র জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ছিলেন বাংলাদেশে ছাত্র লীগের গুরুত্বপূর্ন পদে। এরপর জড়িত হন গণরাজনীতিতে। ১৯৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন ঐ শাখার সহসভাপতি।

শাহ মোদাব্বির আলী মানিক মিয়া আইন পেশার পাশাপাশি প্রতিষ্টানের গুরুত্বপূর্ন পদে জড়িত ছিলেন মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের চেয়াম্যান, বøু-বার্ড হাইস্কুল, ভোলানন্দ নৈশ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক এবং সিলেট-ল-কলেজ ও সরকারী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য।
শাহ মোদাব্বির আলী মানিক মিয়া ১৯৭২ সালে রওশন আরা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। তিনি ছিলেন, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page

Categories