ওসমানী নগর থেকে-মোহাম্মদ আব্দুল মালিক:
আধ্যাত্মিক নগরী, দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ হযরত শাহজালাল(র:) এর স্মৃতি বিজড়িত পূণ্য ভূমি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে ২৩ মার্চ ২০০১ সালে ওসমানী নগর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২ জুন ২০১৪ সালে থানাটিকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল মোঃ আতাউল গণি ওসমানী’র পৈতৃক নিবাস এই উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নে অবস্থিত। মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী জেনারেল এম এ জি ওসমানী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখেন। ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনী, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দেশকে শত্রম্নমুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই মহান ব্যক্তির পৈত্রিক নিবাস এ উপজেলার ঐতিহ্য বহন করে এবং যা এই উপজেলার মানুষের গর্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম কোনো মুক্তিযোদ্ধার নামানুসারে ‘‘ওসমানীনগর’’ উপজেলার নামকরণ করা হয়।
ওসমানীনগর উপজেলার প্রথম ইউএনও ছিলেন মোহাম্মদ শওকত আলী,তারপর থেকে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ আনিছুর রহমান, মোছাঃ তাহমিনা আক্তার, নীলিমা রায়হানা, মহুয়া শারমিন ফাতেমা, রাজীব দাশ পুরকায়স্থ (ভারপ্রাপ্ত) আনুপমা দাস, বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন জয়নাল আবেদীন।
যোগদানের মাত্র কয়েকদিনে একজন জনবান্ধব ইউএনও হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জয়নাল আবেদীন। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন, দেখছেন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, চেষ্টা করেছেন সমস্যা সমাধানের। মনযোগ দিয়ে শুনছেন জনসাধারণের অভাব অভিযোগ চাওয়া পাওয়ার কথা। অসম্ভ কর্মক্ষমতা সম্পন্ন এই মানুষটি তার নানা ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ওসমানীনগরের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
গত ৬ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলার সকল সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন গণমাধ্যম সহ সবার বাক স্বাধীনতা ফিরে এসেছে।তাই সবাই সম্মেলিত ভাবে এই ওসমানীনগর উপজেলাকে দূর্নীতিমুক্ত করতে একসাথে কাজ করতে হবে।
-শুভকামনা এই মানুষটির জন্য। জাতীয় দুর্যোগে তিনি যেন সুস্থ্য থেকে মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে পারেন